ড. কামালের বিরুদ্ধে ইবি শিক্ষকের অভিযোগ দায়ের

Post Image

শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ করেছেন দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ইবির ফোকলোর স্টাডিস বিভাগের শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজ।

তিনি শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে তা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, অভিযোগটি থানায় জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু ঘটনাস্থল ঢাকায় তাই এটি ডিএমপির দারুস সালাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযোগে ওই শিক্ষক উল্লেখ করেন, শুক্রবার ঢাকায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে ড. কামাল হোসেনকে আগামী নির্বাচনে জামায়াতের প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের সম্মানহানি করেন। এমনকি তিনি সাংবাদিকদের হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখান। এসব অভিযোগে ওই শিক্ষক ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগকারী শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজ বলেন, ‘জাতির এ ক্রান্তিকালে তিনি ডিজিটাল ডিভাইসে সরাসরি সম্প্রচাররত অবস্থায় সাংবাদিকদের সম্মানহানি করেছেন এবং ভীতি প্রদর্শন করেছেন। যা আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার জন্যও অপমানজনক।’ড. কামাল হোসেন-শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে ক্ষেপে  যান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা কামাল হোসেন। প্রশ্নকারী সাংবাদিকদের ‘চিনে রাখার’ কথাও বলেছেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।

গণফোরাম সভাপতি কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান।

শুক্রবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ড. কামালের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকেরা তার কাছে জানতে চান,‘জামায়াতের তো রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, এখন জামায়াত সম্পর্কে আপনাদের সর্বশেষ অবস্থান কী?’

এ প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হন কামাল হোসেন। তিনি এক সাংবাদিককে ভৎর্সনা করে উল্টো জিজ্ঞেস করেন ‘কত টাকা পেয়েছ? কাদের টাকায় এসব প্রশ্ন করছো, তোমার নাম কি? দেখে নেব, কোন টিভি/পত্রিকায় কাজ করো চিনে রাখবো, চুপ করো, খামোশ!’ এই বলে হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন।