বাংলাদেশ সহ ১১৬ টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বিতীয় গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক।

Post Image

পৃথিবীর ১১৬ টি দেশের প্রায় ২০০০ টি শহরের সাথে বাংলাদেশেও অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বিতীয় গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক। বাংলাদেশের প্রায় ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে একযোগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পরিবেশ বিষয়ক সবচেয়ে বড় আন্দোলন। আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল গ্রেটা থানবার্গের হাত ধরে। স্কুল শিক্ষার্থী গ্রেটা পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহতা অনুভব করে একাই শুরু করে এই আন্দোলন। গ্রেটা-র পক্ষ থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন খুব দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে পৌঁছে যায় নানা দেশের মানুষের কাছে। সচেতন নাগরিকেরা এগিয়ে আসতে চান গ্রেটার এই উদ্যোগে অংশ নিতে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম বৈশ্বিক আন্দোলন, সেখানে অংশ নেয় ১২০টিও বেশি দেশ। বিশ্বমিডিয়ার মতে, গ্রেটার 'ফ্রাইডেস ফর ফিউচার' এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্দোলন। বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও সচেষ্ট হয়েছে আন্দোলনটি।  সফলতার উৎস ধরে আজ ২৪ মে সারাবিশ্বের আরো ২০০০টির বেশি শহরে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈশ্বিক আন্দোলন। এই আন্দোলনে দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তি দেশগুলোর সাথে অংশ নেয় বাংলাদেশও। বাংলাদেশের প্রায় ১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে অনুষ্ঠিত হয় এই আন্দোলন, অংশ নেন শতাধিক পরিবেশ সচেতন নাগরিক যাদের বেশিরভাগই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। ঢাকা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, টাঙাইল, যশোর, বরিশাল, সাতক্ষীরা, গাজীপুর, জামালপুর সহ কয়েকটি স্থানে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন নজর কাড়ে সাধারণ মানুষের। এই আন্দোলনের পথ ধরেই জলবায়ু সংকট নিরসন হবে বলে আশা রাখেন আয়োজকরা।