অবশেষে চাঁদের মাটিতে খোঁজ মিলল বিক্রমের

Post Image

শুক্রবার রাতে চাঁদে পৌঁছনোর কথা ছিল ল্যান্ডার বিক্রমেরল কিন্তু কয়েক মিনিট আগেই সেই ল্যান্ডারের সঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকেই উৎকন্ঠায় কাটাচ্ছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। অবশেষে রবিবার সকালে সেই বিক্রমের ছবি ধরা পড়েছে বলে জানালেন ইসরোর চেয়ারমান কে সিবান।

অরবিটারের ক্যামেরাটি হাই রেজলুশনের (০.৩এম)। চন্দ্র অভিযানে এর আগে কেউ এমন শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করেনি। সেই ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বিক্রমের ছবি। অর্থাৎ বিক্রম যে অক্ষত রয়েছে, সেটা স্পষ্ট। মনে করা হচ্ছে সফট ল্যান্ডিং সফল হয়েছে।

কে সিবান জানান, ল্যান্ডার বিক্রমের একটি থার্মাল ইমেজ ধরা পড়েছে অরবিটারে। অরবিটারটি চাঁদের চারপাশে কক্ষপথে ঘুরছে। তাতেই ধরা পড়েছে ছবি। তিনি জানিয়েছেন, যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করা সম্ভব হবে।

শুক্রবার রাত ১.৫২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে অবতরণের সময় নির্দিষ্ট ছিল৷ ঠিক তার আগেই সংকেত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে।

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের আয়ুষ্কাল ১৪ দিন। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে কয়েক বিলিয়ন বছর সূর্যালোক ঢোকেনি৷ সেখানে জলের সঞ্চয় রয়েছে বলে মনে করা হয়। সেখানেই নামার কথা বিক্রমের। তবে সঠিক জায়গায় বিক্রমের অবস্থান আছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।

যেভাবে জিএসএকভি মার্ক ৩-তে চন্দ্রযান মহাকাশে পৌঁছেছে ও চাঁদের কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করেছে, তা ভারতের মহাকাশ গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সাফল্যকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেন একটি চলন্ত ট্রেন থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের অন্য একটি চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে বুলেট ছোঁড়া হয়েছে।

এছাড়া এত কম খরচে চন্দ্র অভিযান করার রেকর্ড তো থাকলই ভারতের হাতে। মাত্র ১৪০ মিলিয়ন ডলার খরচেই সম্পূর্ণ হয়েছে পুরো অভিযান। আমেরিকা অ্যাপোলো মিশনে খরচ করেছিল ১০০ বিলিয়ন ডলার। হিসেব কষে দেখা হয়েছিল, ভারতের এই অভিযানের খরচ হলিউডি ছবির থেকেই কম।