রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েক হাজার ইভিএম মেশিনসহ পুড়ে গেছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। ১২তলা বিশিষ্ট এই ভবনের বেইজমেন্ট-১ ও ২ দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট শুরুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
এরপরে আরো ৬টি ইউনিট যোগ দেয়। ১২টি ইউনিটের এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশন ভবনের বেজমেন্টে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন ভবনের নিচতলায় থাকা স্টোররুমে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম রাখা ছিল। অগ্নিকাণ্ডের ফলে, গুরুত্বপূর্ণ এসব মেশিনের অনেকগুলোই পুড়ে গেছে। তবে, নির্বাচন ভবনের ১১তলায় জাতীয় পরিচয়পত্রের যে ডেটাবেইজ রয়েছে তার কোনো ক্ষতি হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, 'আধুনিক এ ভবনটিতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা সচল ছিল কি না, বা অগ্নি নির্বাচন ব্যবস্থা কাজ করেছে কি না অথবা কোনো গাফিলতি ছিল কি না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এছাড়া তদন্ত কমিটি অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং আগামীতে যেন অগ্নিকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।'
ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা দেশের বাইরে থাকলেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুনে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে নির্বাচন কমিশন ও ফায়ারসার্ভিস দু'টি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী তিনদিন অর্থাৎ ১২ই সেপ্টেম্বর দুপুরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।