করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হচ্ছে আমেরিকায়

Post Image

অবশেষে করোনাভাইরাসের আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যাকসিন ট্রায়াল শুরু হতে যাচ্ছে। সোমবার থেকে আমেরিকার ওয়াশিংটনের সিয়াটলেফার্স্ট ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হবে । দ্য ন্যাশনাল ইন্সটিউটি অব হেল্থের তত্ত্বাবধানে ওয়াশিংটনের সিয়াটলের হেল্থ রিসার্চ ইন্সটিউটে এ ভ্যাকসিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রোগীর শরীরে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথম প্রয়োগ করা হবে। খবর এপির।

এনআইএইচ এবং মডের্না ইনকের যৌথ সহযোগিতায় এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। যা ৪৫ জন রোগীর ওপর পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করা হবে। এই ভ্যাকসিনে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই - এই দিকটিই বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে। এ ছাড়াও পৃথিবীর আরো নানা ল্যাবেরটরিতে কয়েক ডজন রিসার্চগ্রুপ কোভিড ১৯ এর জন্য কার্যক্রর ভ্যাকসিনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু রিসার্চগ্রুপ টেম্পোরারি ভ্যাকসিনের জন্য কাজ করছে যা মাস চারেক পর্যন্ত রোগীকে হেল্থি রাখবে পার্মানেন্ট ভ্যাকসিন ডেভলপড হওয়ার আগ পর্যন্ত।

আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশী লেখিকা রীতা রায় মিঠু তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন‘ ভ্যাক্সিন তো সুস্থরাই নেয় যাতে অসুস্থ না হয়। মেডিসিন দেয়া হয় অসুস্থদের। মেডিসিনও ট্রায়াল শুরু হবে করোনা আক্রান্তদের উপর।
করোনা ভ্যাক্সিন সুস্থর উপর ট্রায়াল দিয়ে দেখবে কাজ করে কিনা। কাজ করলে প্রতি বছর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগেই মানুষ ভ্যাক্সিন নিতে পারবে। তখন আর এমন মরক লাগবে না।’

বিশ্বে এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৬ হাজার মানুষ নিউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৫৮০০ জন মারা গেছে। আমেরিকার ৪৯ টি রাজ্যে এ পর্যন্ত ৩০০০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৫০ জন মারা গেছে। ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের মতে এই রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই দু সপ্তাহের মধ্যে এবং সিভিয়ার অসুস্থ রোগীর যদি অন্য কোনো রোগ না থাকে তবে তিন থেক ছয় সপ্তাহের মাঝে পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে ওঠতে পারেন।
যাক, অবশেষ থমকে যাওয়া জীবনে দমবন্ধ হয়ে যাওয়া নিঃশ্বাস থেকে কাটিয়ে ওঠার দৃঢ় প্রত্যাশায় একটি নতুন ভোরের প্রতীক্ষায় সমস্ত পৃথিবী।