আমাদের আইনের মধ্যস্থতায় হিন্দু বিধবার বঞ্চিত হিস্যা ও দীর্ঘ পারিবারিক বিরোধের অবসান।

Post Image

আমাদের আইনরে মধ্যস্থতায় হিন্দু বিধবার বঞ্চিত হিস্যা ও দীর্ঘ পারিবারিক বিরোধের অবসান। 

শেরপুর জেলার গৌরীপুর মহল্লায় দীর্ঘ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এক হিন্দু বিধবার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির হিস্যা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এ বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থা “আমাদের আইন” শেরপুর জেলা কমিটি বরাবরে বিধবা আইনী সহায়তার জন্য দরখাস্ত দিলে সংস্থা কর্তৃক গত ৬ জুন ২০২০ ইং তারিখে হিন্দু বিধবার বঞ্চিত হিস্যা ও তার সন্তানদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগভাটোয়ারা নিয়ে এক সালিশী বৈঠকের আয়োজন করেন। 

বিরোধে হিন্দু বিধবার আইনগত সকল অধিকার বিষয়ে অত্র সংস্থার আইনজীবী এবং “আমাদের আইন” জেলা সেক্রেটারি নাজমুল আলম এর সঞ্চালনায় ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কোঅরডিনেটর ও জেলার চেয়ারম্যান নূর-ই- আলম চঞ্চল এর সার্বিক তত্বাবধানে সদর কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারীর সভাপতিত্বে উভয় পক্ষের সম্মতি ও উপস্থিতিতে সালিশী বৈঠকের শুরুতে পূর্ববর্তী সকল বিভিন্ন বিচার এবং প্রত্যেকের দাবীদাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়, সেই থেকে জানা যায় হিন্দু আইনের ভুল ব্যাখ্যায় বিধবা মহিলা তার মৃত স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পতির হক থেকে বঞ্চিত ছিলেন এবং তাহার সন্তানদের মধ্যে পারিবারিক বন্টন নিয়ে সমাজিক বিশৃঙ্খলায় অনিরাপত্তায় ভূগতেছিলেন, তারা তাদের নিজেদের ভূল বুঝতে পেরে এক আপোষ মিমাংষায় উপনিত হোন এতে বিধবা মহিলা তার হিস্যার অংশ সহ সকলের হিস্যা আইনত ভাবে নিষ্পত্তি হলো।

উক্ত সালিশী বৈঠকে মানবাধিকার সংস্থা “আমাদের আইন” এর আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী,  স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মধ্যে ৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর আব্দুল মালেক, শেরপুর সদর থানার এ এস আই মোঃ শফিকুল ইসলাম, অ্যাড. নরেশ চন্দ্র দে, অ্যাড. বাদল চন্দ্র সরকার, হিন্দুধর্ম ঠাকুর ভূলানাথ তেওয়ারী, “আমাদের আইন” জেলার কো- চেয়ারম্যান অ্যাড. নূরুল ইসলাম তালুকদার, কাজী আবু জর মোঃ আলআমিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুর রউফ রুমী, জেলা কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি ইঞ্জিঃ শান্ত রায় সহ প্রমুখ উপস্থিতিতে স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতামত ও সাক্ষীর ভিত্তিতে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বিধবা শীবদাসীর স্বামী মারা যাওয়ার পর তার তিন সন্তানের মাঝে বড় ছেলে মঙ্গললাল কালোয়ার ভরন পোষণ ও দেখাশুনা করে আসছেন।কিন্তু বাকি দুই সন্তান মহন লাল কালোয়ার ও শহন লাল কালোয়ার মাকে অত্যাচার ও নির্যাতন সহ তাহার হক থেকে বঞ্চিত করে আসছিলেন এবং বিভিন্ন সময় এই বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন মহলে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিচার সালিশী করা হলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে কোন প্রকার সুরাহা হয়নি।

এ অবস্থায় আমাদের আইন এর সেন্ট্রাল কমিটির কো-অর্ডিনেটর ও স্কাইটাচ্ সোসাইটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট এ.জেড.এম. আব্দুস সবুর এর সার্বিক নির্দেশনায় জেলা কমিটির মাধ্যমে সালিশীর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মিটিংএর সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারী বলেন, “সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সচেতনতা সাস্থ্য বিধি মেনেই  উপস্থিত হয়ে উক্ত আপোষ মিমাংষা অনুষ্ঠিত হয়”।